
কবিতাঃ মধুবনি মোড়ক (দেবীপ্রসাদ পাঁজা)
জ্ঞান, গরিমা আর শেষের লালিমা,
এক অঞ্জলি জলে ভেসেছিল শারীরিক কৌমার্য।
মিথ্যা প্রনয় সুখে নিজেকে বিসর্জনে বেজেছিল
রক্তাক্ত চৈতন্যের শ্রী খোল আর কীর্তন।
শ্রীখণ্ডী জুড়ে কিছু অভাগা কিংশুক আর লাল বাতাসা।
আপোষের পরিহাসে আদিম তরবারি রাত্রির প্রহর গুণে,
মাটিতে মিশে আবার গাছ হবে দৈহিক জ্বর।
লন্ঠনের আলোয় চকচকে মৃত বেরসিক স্বপ্ন,
মাঝ আকাশে গভীর থেকে গভীরতর হিমমাখা ক্ষত।
ঝলসানো সম্পর্কের স্ফুলিঙ্গে আরেকবার সেঁকে নেওয়া
সাথে সন্ধ্যাপ্রদীপের শুকিয়ে যাওয়া হলুদ তেল।
সাক্ষী খুঁজতে গিয়ে হোঁচট সেই কায়ার সাথেই।
স্বপ্ন ভাঙার কারিগর প্রসন্ন চিত্তে শান্তির নিদ্রায়,
ঘুমের মধ্যেই ছুঁয়ে যাচ্ছে আদিগন্ত ভূমি,
একপা দুপা করে এগিয়ে আসছে ভিনদেশী শিল্পী।
নিরক্ষর বারি ধারা শুদ্ধ করে গেল শেষবার,
আদিম মোড়কের পরোয়ানা জারি হল এখন থেকেই...
সারা শরীরে ফুটে উঠছে মধুবনি শৈলির অলঙ্কার।
লাল ভূর্জপত্রের লিপিরা স্থান নিয়েছে মধুবনি মোড়কে,
স্বচ্ছ বিবেক আর সম্ভ্রান্ত রাত্রিতে বেঁচে উঠেছে মৃত্যুদূত।
পালাবার আর পথ নেই যে, সব আলো নিভে গেছে;
উদ্ধত পরাজয়টা ক্রমশ ঘুমের দেশে অগ্রসর,
ক্ষয়ের নদী পাড়ের শ্মশানে আজ
মধুবনি মোড়কের ধোঁয়ায় নিকোটিনের পোড়া গন্ধ।