গল্পঃ দুলারী ( মুকুলিকা দাস)
- এই ছুঁস না, ছুঁস না।দিলিতো সব মাটি করে,হতচ্ছাড়া, বেজন্মা।
- আমি কিছু ছুঁই নাই।
- আমি নিজে দেখলাম,আমার ধোঁয়া বেছনাটা,হায় রে,যা এখুনি তোল ওটা,কেচে শুকোতে দে।এসব অচ্ছুৎ দিয়ে ঘরবাড়ি একদম রসাতলে গেলো গো।
- গিন্নীমা,এমন করে কেন কউ?
- না..তো আয়, আসনে বোস পুজো করি তোর!ছোটলোকের দল,বেরো, বেরো বলছি।
না,এটা নতুন কিছু নয়।বড়োবাড়ির সকালটা এমনভাবেই শুরু হয়,অন্তত দুলারী আসার পর থেকে তো তাই-ই।দুলারী এই বাড়ির কাজের মেয়ে,দুমাস হলে কাজে এসেছে।ওকে তিনবেলা খাবার দেওয়া হয়,মাসে চারহাজার টাকা দেওয়া হয়,আর ওর থাকার ঘরটা সবচেয়ে কোনায়,যেখানে যখন তখন বাড়ির পোষা কুকুর টমি এসে ঘুমিয়ে থাকে।ঘরে একটা চৌকি,একটা আলনা ছাড়া কিছু নেই।যদিও দুলারীর এতে আপত্তি বা কষ্ট কোনটাই নেই,গরীব মানুষের পেটে গরম ভাত পড়ছে,মাথায় ছাদ জুটছে এই কতো!
নন্দু দুলারীর বর,পেশায় একজন মেথর।কয়েকটা মফস্বল জুড়ে নন্দু রোজ পরিষ্কার করে সব বাড়ির নালা-ড্রেন।মুখে কাপড় বেঁধে কাজগুলো করতে করতে নন্দুর কি কষ্ট হয়না?ওর ও কি ঘেন্না হয়না?
হয়,সবারই সবটা হয়,কিন্তু হলে যে চলবে না।ছেলে কে দেখবে?সংসার,বৌ!তাই নন্দু কাজ করে,খুব কষ্ট হলে দুলারীকে মনে করে।দুলারীর হাসি সব ভুলিয়ে দেয়।
এইভাবেই দুলারীর সংসার ছিল সুখের।
কিন্তু মেথরপট্টির এক ঝুপড়ির গিন্নী দুলারি শহরে, বিখ্যাত বড়বাড়িতে কাজ নিল।দুলারীর বয়স খুব বেশি না। শহরে আসার ইচ্ছে কোনদিনও তেমন ছিলনা ওর,কিন্তু ছেলে বিশুটা যখন বিছনায় পড়লো,ডাক্তার বললো হার্টে ফুটো অপারেশন করতে হবে,দুলারীর আর উপায় ছিলো না।ও শুনেছে ব্যংগালোরে কোন বড়ো ডাক্তার আছে গরীব মানুষের অল্প পয়সায় চিকিৎসা করে,সেখানে গেলে নাকি বিশু একেবারে ভালো হয়ে যাবে। দুলারি তাই টাকা জমাচ্ছে,ওর বর আর কতই বা পায়!
কিন্তু বাড়ির গিন্নীর পদে পদে তাকে অচ্ছুৎ বলাটা ও মেনে নিতে পারেনা।মানুষ নামক জাতটা একটা বোধবুদ্ধি নিয়ে জন্মায়তো,সেখানে সে একটা সম্মান নিয়ে বাঁচতে চায়।তাই গিন্নীর এই অপমান দুলারীর ভেতরে গিয়ে লাগে। বাড়ির বাকিরা হেসে সবটা উড়িয়ে দেয়,বলে গিন্নীমাএমনই।এতে মনখারাপ করার কিছু নেই।খুব সামান্য ব্যাপার।
আচ্ছা, দুলারী খুব সামান্য বলেই কি ব্যাপারটা সামান্য?
কিন্তু দুলারীকে যে থাকতেই হবে...
বিশু,ওর জন্য হলেও যে থাকতে হবে!
মা হওয়া কি আর মুখের কথা!
- এই দুলারী,আমার জামাকাপড়গুলো ইস্ত্রি করে দে তো!
- যাই দাদাবাবু।
- আরে, ওদিক কোথায় যাস?খোকার খিচুড়িটা তো বানালিনা?ও তো উঠেই যাবে একটু পর!
- কচ্ছি গো বৌদি।
- আরে দুলারী, আমার নিউজপেপারটা দে তো!
- দেচ্ছি গো কত্তা।
- ও মা,গো আমার নীল হট প্যান্টটা ছাদে এনে দেনা রে, দুলি।
- হুম হুম যাই গো দিদি।
এভাবে দুলারীর সকাল কাটে,এমন নয় যে দুলারীর মতোন মহিলাদের ছাড়া কস্মিনকালে বড়বাড়িতে সকালটা শুরু হয়নি।কিন্তু পয়সা দিয়ে রাখা লোক,ওজন মেপে ঘাম না ঝরালে আর কি হলো?
তাই মাঝে মাঝে বাড়ির সকলে ভুলে যায় দুলারী একজন মানুষ, ওদের মতন বড় না হলেও একটা মানুষ।ভুলে যায় দেখেই বোধ করি,টমির প্রাতঃক্রিয়া পরিষ্কার,বাড়ির সকলের বাথরুম পরিষ্কার,কুয়ার পাড়ের শ্যাওলাগুলো ঘষে ঘষে তোলা, সবটাই করতে হয়।
অচ্ছুতের কাজ তো করবেই,অচ্ছুৎ বাড়ির মেয়ে যে!
দুলারীর বাবাও এই পেশায় ছিলেন।
দুলারী মেথরপট্টিরই মেয়ে!
এমন মেয়েকে বড়বাড়ির গিন্নী অবশ্য আনতে চাননি কোনদিনও,তাও আবার ঘরে!
- কি সব্বোনেশে কথা।
- কিন্তু মা,তোমার নাতিকে কে দেখবে?তোমার বৌমাকে তো তবে চাকরী ছাড়তে হয়।
- তাই বলে মেথরপট্টিতে থাকা মেয়ে!
- তবে কি কোন ব্রাহ্মণ মেয়ে আনবো। ভোগাস যত্তসব! এমনিতেই মা,আজকাল কাজের লোকের খুব প্রব্লেম, আর বাড়িতে এতোগুলো লোক,পাবে এতো সস্তায়?আমি আমার কলিগকে হ্যাঁ বলে দিয়েছি।
- যা খুশি করগে, আমার কথার কি দাম!
অবশ্য দত্তগিন্নীর অভিমান কাজে দেইনি,দুলারী এসেছিল।
তাই ওর ওপরই যত রাগ।
দুপুরবেলা যখন সবাই ঘুমে যায়,বাড়িতে তখন শুধু কত্তা আর গিন্নী,তখন দুলারী ছাদে এসে বসে।ওর নিজের ঘরের কথা মনে পড়ে, নন্দু আর বিশুর কথা মনে পড়ে।অবশ্য আরো অনেক সময়ই মনে পড়ে।
এইতো গত বুধবার,ঘটা করে বুবাই বাবুর তিনবছরের জন্মদিন হলো।কি নেই সেখানে, পনির থেকে শুরু করে তিনরকমের মাছ,মুরগি,খাসি,পোলাও কত কি!
ফ্রিজ ভর্তি খাবার বেঁচেছিল,নষ্টও হয়েছে প্রচুর। অবশ্য দুলারীর পাতে ছিল ট্যাংরা মাছ শুধু।
তা হোক তবু মাছতো!
বিশুটাও তো অনেকদিন মাছ খায়নি,নন্দু ও খায়নি।
তারপর তিনমাস আগে গেলো পুজো, তখন বৌদি একটা পুরনো ছাপা শাড়িখান দিলো,তখনো মনে পড়েছে বিশু হয়তো ছেঁড়া গেঞ্জি পড়েই বন্ধুদের সাথে লজেন্স চুষবে।
বুকের ভেতরটা হুহু করে উঠে।বিশুকে কবে থেকে দেখেনা,কেমন বলে মা মা করে ঘুমের ভিতর!
নন্দুর সাথে তাও দেখা হয়,হপ্তান্তে একবার করে দেখা করতে আসে।
কাল দেখা হয়েছিল,নন্দু আসছিল পাইপলাইনের রাস্তাটায়,ভেবেছিল এবার হয়তো বিশু আসবে!
- বিশুকে একবার আনতে কছিলাম না?
- হ,ছ্যালে কেমন ন্যাতায় গেছে!আসতি পারলোনি।
- ক্যান গো?
- কেমন হাঁপায় ওঠে,খাবার চায়েনা।
- এ নেও,ফল আর হরলেকস।এ বাড়ির ওরা খায়।
- এ নে কি করবো?
- বলবা বিশুক,মা দেছে।দেখনে, খুশি হবি।
- আচ্ছা, কবানে।তুই ক্যামন আছিস?
- আমি,থাক...।তোমাগো ছ্যাইর্যা..
- ঘর যাবিনা?
- যাবানে,আর একটু জমবার দ্যাও।
- কি হবি রে এসব করি?বিশু কি...
- ওসব না কবা,বলিছি না।ত্রিশ এর মতো জমিলি চলে যাবানে,ঘর কি মোক টানে না। উ তো আমারই ঘর,বিশুটাক না দেখি দেখি মনের ভেতর ক্যামন করি ওঠে।তুমি না বুঝবানি,মায়ের মন..
- বুঝিছি,বুঝিছি।আর কবার লাগবি না।আজ যাই তালি,কাম মেলা।
- তুমার কষ্ট হই না,পায়ের ব্যাথাটা কমিছে?
- আর বেথা,তুই নাই ঘর যাবার মনই করি না।
- নানা,আমি যাবানে,দেখোনি।আর কিছুদিন।
- আচ্ছা,যাই তালি।
- যাই না কোও,আসি।
- আসি।
হাতের পলা দুটোর দিকে তাকিয়ে, অল্প অল্প নাড়িয়ে দুলারী এসব ভাবছিল।কাল নন্দু এনেছিল হাতে করে,খালি সময়ে এসব কথা মনে আসে খুব।
কবে যে বাড়ি যাবে ও?
- ওই যে,ওই যে হারামজাদি।কি করিস রে তুই ছাদে,আজ আবার রান্নাঘরে কেন গেছিলি বল?
- ও মা, বৌদিই ত কল খোকার খিচড়ি রান্না কত্তি,না যিয়ে উপায় ছেল?বৌদি কি ব্যস্ত দেখনি!
- আহা রে,আমার বৌদি ন্যাওটা! কি কান্ড হচ্ছে নীচে দেখেছিস?বুবাইটা আমার বমি করতে করতে..ডক্টর ডাকতে লাগবে।হায় হায় রে সব্বোনাশ করলি!
- খোকার বমি হচ্ছি?এত্তক্ষন ধরি এ প্যাঁচাল পারিচ্ছ,সরো দোর থিকে যাতি দ্যাও।
- তোর হাতের রান্না খেয়ে না হলো।কেন সেদিনও সাধ করে যে কুটনো বেঁটে সর্ষে ইলিশ রান্ধলি, ওটা খেয়েও তো আমার সুমনাটার কেমন পেট ব্যথা। তোর হাতেই বিষ রে,মেথরপট্টির অচ্ছুৎ, তোদের ছোঁয়া খেলেও যে মহা পাপ।এ আমার খোকাকে কিভাবে বোঝাই?
- ক্যান গো গিন্নিমা?মেথরের বউ,মেয়ে হতি পারি,কিন্তু আমি আলাদা কিছু না গো।এভাবে ক্যান কউ?আমাদের কি বুকে লাগেনা!
- তোরা অচ্ছুতের দল।তোদের অমন করেই চলতে হয় বড়বাড়ির লোকেদের ছায়া মাড়ানোও পাপ তোদের।নিম্নগোত্র শূদ্র যারা,যারা হরিজন,যারা দলিত-তোদের সকলের কাজ আমাদের নোংরা পরিষ্কার করা।তোর বর ঠিক কাজটি করে,আর তুই কিনা সব নিয়ম ভেঙে রান্না করে দিয়ে এলি!তোদের রক্তই নষ্ট,তোদের রক্তই তোদের অচ্ছুৎ করে রাখে।
- গিন্নীমা!
- এবার ডাক্তার আসুক,একটা বিহিত করতেই হয়।এভাবে তোর ছায়ার নিচে থাকলে অসুখ-বিসুখ বাড়বে বই কমবে না।
দুলারীর কিছু বলার ছিলনা।সমাজের নিয়মের তোয়াক্কা কোনদিন করেনি।লোক ওদের গা ঘেঁষে না।ওদের পাশে বসেনা।নন্দুকে যারা চেনে,নন্দুর মাসের মায়না দূর থেকে ছুঁড়ে মারে,বিশুর সাথে পাশের ঝোপড়পট্টির ছেলেরা খেলে না। কেউ সহজে ওদের ঘরে ঢোকায়না।সমাজের সবচেয়ে নোংরা কাজ করে ওরা।
দুলারী ওই জাতের মেয়ে রক্তের নাকি দোষ হয়?দুলারী এসব বোঝে না,কিন্তু ওর মনে প্রশ্ন জাগে- সবচেয়ে নোংরা কাজ করে দেখে তারাও নোংরা,কেন?ওরা না থাকলে কি স্বস্তিতে নিশ্বাস ফেলতে পারবে সবাই?পরিষ্কার সুস্থ জীবনের অহংকার করতে পারবে?
আর দাদাবাবু যে রোজ ব্ল্যাকে রোগীদের ওষুধ বিক্রি করে ওটা নোংরা কাজ না?
দিদিমণি কার না কার সাথে রোজ রাতে করে ঘরে ফেরে,কখনো ফেরেনা।ওটা নোংরামি না?
বাড়ির কত্তা সবসময় আড়চোখে দুলারীর শরীরে কিসব খুঁজে,ওটা কি ভদ্র মানুষেরা করে?
জানে না দুলারী, বোঝেনা।চোখের জলে নুইয়ে যায় ওর মাথা,আত্মসম্মান আজ তলানিতে ঠেকেছে!
কালই বাড়ি ফিরবে দুলারী,অনেক হলো এভাবে থাকা যায়না।গায়ে হাত তুললেও এতো জ্বালা বুঝি করেনা,মুখে বললে যতটা হয়!
কিন্তু বিশু!
না, অন্যবাড়ি দেখবে,গ্রামে কাজ খুঁজবে , শহরে আর না!
নীচে ততটাও হুলুস্থুলু নেই যতটা গিন্নি বলে গিয়েছিলেন।ভুল করে কিছুটা কফ সিরাপ মুখে দিয়েছিল বুবাই তাতেই বিপত্তি।অবশ্য দুলারীর খেয়াল রাখা উচিৎ ছিল।এখন বুবাই ঘুমোচ্ছে।
- কিরে তুই খেয়াল রাখবিনা?জানিস না কেমন শয়তান ছেলে!
- জানি বৌদি ,আসলে উপরে বসি ছিলাম।
- তেমন কিছু হয়নি এই রক্ষা,এদিকে মা তো হুলুস্থুলু লাগিয়েছে।যা এখন থেকে ভুল করিসনা।
- বৌদি আমি কাজ ছাড়বো।
- সে কি রে?
- আমার যাবার লাগবেই,বিশুটার শরীর ভালোনা।
পরমা,মানে এই বাড়ির বউ, কি বলবে জানেনা,দুলারী না থাকলে যে ওর চাকরী করা মুশকিল হয়ে যাবে,এটা ও জানে।কিন্তু দুলারী নারাজ,ও যাবেই।মাথায় হাত পরমার স্বামী অনিমেষেরও, অনেক কষ্টে কলিগকে বলে যোগাড় করেছিল দুলারীকে, কিন্তু এবার।
রাতেই সব টাকাপয়সা বুঝে নিয়েছে দুলারী, ব্যাগ গোছানোও প্রায় শেষ। বুবাইয়ের খাওয়া-দাওয়ার দিকটা আর দেখেনি,রক্তের দোষে আবার যদি কিছু হয়!
রাতে চোখ মুছতে মুছতে আলনা থেকে কাপড়চোপড়গুলি নামায়,বুবাইয়ের জন্য একটু খারাপ লাগছে,তার চেয়েও বেশি পরমার জন্য,ও কি একটু বেশি করে ফেললো?
মান-সম্মান কি পেটের দায়ের চেয়ে বড়ো!বিশুর কি হবে?যদি আর নতুন কাজ না পায় দুলারী?এসব ভাবতে ভাবতেই...
হঠাৎ ভারী কিছু একটা পড়ার আওয়াজ পায়। তারপর শোনে চিৎকার।
বাড়ির গিন্নীর অবস্থা সংকটজনক, শ্যাওলা ধরা পাটাতনে আচারের কৌটোগুলো নামাতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে গিয়েছেন ছাদ থেকে।মাথায় চোট বেশি তাই সেটাই ভয়,ডক্টর জানিয়েছে এক্ষুনি তিন ব্যাগ রক্ত লাগবে।ও নেগেটিভ,রেয়ার ব্লাডগ্রুপ। তন্ন তন্ন খুঁজেও এক ব্যাগের বেশি জোগাড় করতে পারেনি অনিমেষ। তবে?
হঠাৎ কিছু হয় দুলারীর,ঠোঁটে বাঁকা হাসি।
- আমি রক্ত দেবানে দাদাবাবু।
- তুই,তুই কিভাবে দিবি?ব্লাডগ্রুপ না মিললে তো...
- জানি,বিশুর কত রেপোট দেছিল,তখন আমার, নন্দুর সবার রক্ত চেক করিছিল্যাম।আমার ওই ও রক্তই।
- তুই জানিস ঠিক?
- না হয় তো ডেক্তর বাবুরে কউনি?আমার রক্ত নে দেখুক।
দুলারীর কথা ফলে যায়,একই ব্লাডগ্রুপ। আর কোনো ভাবার প্রশ্নই আসেনা।দুলারীর রক্তে নতুন জীবন পায় বড়োবাড়ির গিন্নী।
- দুলারী তোর এই উপকার আমি কোনদিন ও..
- থাক কত্তা।
- বল কি চাস?
- বাড়ি যাতি চাই।
- তা যাস,আর কিছু টাকা পয়সা?
- আমার পাওনা তো পেইয়েছি।
- তবুও।
হঠাৎ দুলারী হেসে ওঠে,খুব জোরে,যেন তার কত আনন্দ।
- কি হলো তোর?হাসিস কেন?
- হাসি কি আর সাধে!হা হা হা... পারলে গিন্নীমারে কয়ে দিও ওর শরীরে অচ্ছুতের রক্ত এহন, কি ক্যামন মজা না!
- দুলারী!
- আসি গো,সক্কালের বাসটা ধরতি হবে।ছেলেটারে নে কত্ত চিন্তা...আসি গো দাদাবাবু।
দুলারী ধীরে ধীরে বেড়িয়ে যায় হসপিটাল চত্বর থেকেই।
অনিমেষের কানে শুধু দুলারীর হাসির আওয়াজ ভাসতে থাকে...
" পারলে গিন্নীমারে কয়ে দিও ওর শরীরে অচ্ছুতের রক্ত এহন,কি ক্যামন মজা না?"
( সমাপ্ত)
লেখিকাঃ মুকুলিকা দাস